অনলাইন ডেস্ক:
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি ও জামায়াতের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট একমাত্র মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাড়া দেশের ৬৩টি জেলায় পরিকল্পিত লাগাতার সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। এ অপশক্তির কাছে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে দাঁড়িয়েছে। এ অপশক্তি নির্মূল ছাড়া আমরা কেউ নিরাপদ নই।
বুধবার (১৭ আগস্ট) জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে সিরিজ বোমা হামলার ১৭তম বার্ষিকীতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ঘৃণা ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বিএনপি জামায়াত এখনো জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। তারা নানামুখী ষড়যন্ত্রের জাল বুনে এদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। তাই তাদের তিল পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।
সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বিএনপি মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও আসলে তারা মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনা বিরোধী সবচেয়ে ক্ষতিকারক অপশক্তি। দলটি ক্ষমতায় থেকে পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশ পরিচালিত করেছে, এমনকি এই দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ’৭১ সালে জাতিসংঘে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বক্তব্যদানকারী শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন এবং কুখ্যাত রাজাকার ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিমকে মন্ত্রিত্ব দিয়েছে। একইভাবে জিয়ার সহধর্মিণী খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী ও আল মুজাহিদিকে মন্ত্রিত্ব দিয়েছিলেন। এতেই প্রমাণিত বিএনপি এদেশে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে একটি অপশক্তি। এরা কখনো বাংলাদেশ চায় না এবং বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তাকে বানচাল করতে চায়।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সুস্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে, তাদের মিছিল সমাবেশ করার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু মিছিল সমাবেশের নামে নাশকতা করলে জনগণের জান-মালের ক্ষতি সাধন করলে রাজপথেই তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
আ জ ম নাছির উদ্দীন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম মহানগরের মূল ৩টি আসনসহ আংশিক ৩টি আসনে যাকেই নৌকা প্রতীক দেবেন তাঁর বিজয় সুনিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেন।
তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে সাংগঠনিক দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন উপদেষ্টা সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য জাফর আলম চৌধুরী, মহব্বত আলী খান, থানা আওয়ামী লীগের ফিরোজ আহমেদ, সাহাব উদ্দীন আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মো. সামশুল আলম, কাজী রাশেদ আলী জাহাঙ্গীর, মো. ইয়াকুব প্রমুখ।
সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আব্দুচ ছালাম, হাসান মাহমুদ শমসের, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসেন, জহুর আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, জোবাইদা নার্গিস খান, আব্দুল আহাদ, আবু তাহের, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, মো. শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আমিনুল হক, আব্দুল লতিফ টিপু, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, নেছার উদ্দীন আহমদ মঞ্জু প্রমুখ।
Leave a Reply